৩৩/৭. হাতি
Elephant (এলিফেন্ট)/ ‘ﻔﻴﻝ’ (ফীল)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘দেহ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘পৃথিবী’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অশ্ব, গাড়ি, জাহাজ, তরী ও বৃক্ষ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘কানন, পাহাড়, বপু, বিপিন, ব্রজ^৩ ও ভুবন’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘দেবালয়, বিশ্ব, মন্দির, রথ^১, শাস্ত্র ও স্বর্গালয়’।

অভিধা (Appellation)
হাতি^১ (বাপৌউ)বি হস্তী, করী, গজ, ঐরাবত, মাতঙ্গ, বারণ, দ্বিপ, দন্তী, দ্বিরদ, elephant, ‘ﻔﻴﻝ’ (ফীল) (আল) অত্যন্ত স্থূলকায় ব্যক্তি, বেমানান মোটা লোক (শ্ববি) দেহ, খাঁচা, ধড়, পিঞ্জর, body, জাসাদ (আ.ﺠﺴﺪ), বদন (আ.ﺒﺪﻦ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; দৈত্যবৎ এক প্রকার বৃহৎ প্রাণীকে হাতি বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, মানুষের স্থূল দেহকে উপমার্থে হাতি বলা হয় (বাপৌছ) দেবালয়, বিশ্ব, মন্দির, রথ^১, শাস্ত্র ও স্বর্গালয় (বাপৌচা) কানন, পাহাড়, বপু, বিপিন, ব্রজ^৩ ও ভুবন (বাপৌউ) অশ্ব, গাড়ি, জাহাজ, তরী, বৃক্ষ ও হাতি (বাপৌরূ) পৃথিবী (বাপৌমূ) দেহ।
হাতি^২ বিণ হস্ত পরিমিত (বারো হাতি কাপড়)।

হাতির ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of elephant)
“সুঁই ছিদ্রে চালায় হাতি, বিনা তেলে জ্বালায় বাতি, সদাই থাকে নিষ্ঠারতী, ঠাঁই অঠাঁইয়ে সব জায়গায়।” (পবিত্র লালন- ৫৬০/২)।

হাতির সংজ্ঞা (Definition of elephant)
সাধারণত; দৈত্যবৎ এক প্রকার বৃহৎ প্রাণীকে হাতি বলে।

হাতির আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of elephant)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবের স্থূল আকারকে দেহ বা রূপকার্থে হাতি বলে।

হাতির প্রকারভেদ (Variations of elephant)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে হাতি দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান হাতি ও ২. উপমিত হাতি।

১. উপমান হাতি (Analogical elephant)
সাধারণত; দৈত্যবৎ এক প্রকার বৃহৎ প্রাণীকে উপমান হাতি বলে।

২. উপমিত হাতি (Compared elephant)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে জীবের স্থূল আকারকে দেহ বা উপমিত হাতি বলে।

হাতির পরিচয় (Identity of elephant)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।

সাধারণত; দৈত্যবৎ এক প্রকার বৃহৎপ্রাণীকে হাতি বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; জীবের স্থূল আকারকে দেহ বা হাতি বলা হয়। উল্লেখ্য যে; মানুষ হাতির মতো দীর্ঘদেহী বলেই শ্বরবিজ্ঞানে; মানুষকে হাতি বলা হয়। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; হাতি পরিভাষাটি কেবল নরদেহের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কুরানে  হস্তী নিয়ে সরাসরি কিছু উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে। যেমন; বলা হয়েছে- “দেখ নাই কী তোমার প্রভু হাতিবাহিনীর কী অবস্থা করেছেন? তাদের সব কৌশল নস্যাৎ করা হয় নাই কী? তাদের প্রতি পাখি প্রেরণ করা হয়। তলদেশ হতে তাদের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করা হয়। অতঃপর; তাদের চর্বণকৃত ভুষিবৎ করা হয়” (কুরান, সুরা- ফিল)।

এখানে; হাতি দ্বারা নরজাতি, কৌশল দ্বারা মৈথুন কৌশল, পাখি দ্বারা স্ত্রী জননাঙ্গ, পাথর দ্বারা স্বেদ এবং ভুষিবৎ করা দ্বারা শুক্রপাতের পরে শিশ্নের অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী ও বক্তারা বিষয়টি ছোট ছোট গল্পের মধ্যে গেঁথে দিয়ে সাধারণ মানুষকে আত্মতত্ত্বের মূলশিক্ষা হতে চিরতরে বঞ্চিত করেছে। কিভাবে শুক্ররক্ষা করা যায়? কিভাবে অটল হওয়া যায়? এমন প্রশ্ন উত্থাপন করা বা হওয়ার কোনো সুযোগই আর নেই। এভাবে কেবল হাতি নয় শ্বরবিজ্ঞানে; যত সত্তা বা যত পরিভাষা রয়েছে সবগুলোকেই তারা চরমভাবে লাঞ্ছিত, অবহেলিত ও পদদলিত করেছে সুকৌশলে।