হাত

৫৮/৮. হাত
Hand (হ্যান্ড)/ ‘ﻴﺪ’ (ইয়াদ)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বলাই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা। এর বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা শিশ্ন। এর বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা বলাই। এর বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা বৈঠা। এর অন্যান্য বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা আঁচল, খুঁটি, গাছ, চরণ, দৈত্য লাঠি। এর বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা অনস্থী, আঙ্গুল, কর্ণ, জগাই, জনক, বিম্বল শুক্রাচার্য এবং এর বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা কামগুরু, কিরীটী, বণিক, বাবা, বামন, মরা শ্রীচরণ। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণীতে বর্ণিত নাসিকাবলাই প্রভৃতি বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তারই ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক আত্মতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।

অভিধা (Appellation)
হাত (বাপৌউ)বি হস্ত, কর, পাণি, বাহু, ভুজ, আঠার ইঞ্চি, চব্বিশ আঙ্গুলি পরিমিত দৈর্ঘ্যরে একক, শুঁড়, শুণ্ড, বগল হতে আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দেহাংশ, কনুই হতে আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দেহাংশের পরিমাণ পরিমাপ, hand, ‘ﻴﺪ’ (ইয়াদ) (আল) প্রভাব, অধিকার, আয়ত্ত, অধীন, সহায়তা বা বিরোধিতার জন্য হস্তক্ষেপ (আপ্রশ) শিশ্ন, বাঁড়া, মেঢ়্র, হোল, penis, জকর (.ﺬﻜﺭ) (আঞ্চ) সোনা, পোতা, ধন (শ্ববি) বলাই, কামদেব, নারদ, বিম্বল, মদন, মন্মথ, মহাদেব, মাধব, রাবণ, লাঠি, শিব, পা, গাছ, রশি (ইদে) আসা (.ﻋَﺼَﺎ), জাকারিয়া (.ﺯﻜﺭﻴﺎ), শিমার (.ﺸﻤﺭ), হাবিল (.ﺤﺎﺒﻞ), মারুত (.ﻤﺎﺭﻮﺕ) (ইংপ) finger (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বলাই পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণভাবে বগল হতে আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দেহাংশকে হাত বলা হয় . শ্বরবিজ্ঞানে; নরজীবের শিশ্নকে হাত বলা হয় (বাপৌছ) কামগুরু, কিরীটী, বণিক, বাবা, মরা ও শ্রীচরণ (বাপৌচা) অনস্থী, আঙ্গুল, কর্ণ, জগাই, জনক, বিম্বল ও শুক্রাচার্য (বাপৌউ) আঁচল, খুঁটি, গাছ, চরণ, দৈত্য, লাঠি ও হাত (বাপৌরূ) বৈঠা (বাপৌমূ) বলাই।

হাতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of hand)
১.   “চৌদ্দতলা নৌকা গড়ে বৈঠাটি হাতে ধরো, অষ্টাঙ্গে ভর করিয়া সাগরে আঘাত করো, ভরা সাগরের বুক চিরিয়া সঙ্গীসহ পাড়ি দিয়া, দয়াল নাম সঙ্গে নিয়া আপনার আপন দেশে যাও।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫২)
২.   “ছেড়ে দে মা হাতের বাঁধন, যায় যেদিকে যায় দুই নয়ন, পরের মাকে ডাকব এখন, তোর গৃহে আর আসব না।” (পবিত্র লালন- ১৬৫/৪)(মুখ; আর আমারে মারিস না মা, বলি মা তোর চরণ ধরে, ননি চুরি আর করব না”)
৩.   “মাটি ছেড়ে লাফ দিয়ে, আসমানে গিয়ে হাত বাড়ায়, হুমড়ি খেয়ে পড়ে কাফির, সে খানায়।” (পবিত্র লালন- ৮৫৯/৪)(মুখ; রসের রসিক না হলে, কে গো জানতে পায়, কোথায় সাঁই অটল রূপে বারাম দেয়”)।৪.   “মাল্লা প্রধান বারোজনা কেবা কোথায় খোঁজ করো, মাঝখানে বসিয়া নায়ের শক্ত হাতে হাল ধরো, দশ উদ্দীপক ষোল সাথী দেখিয়া বাতাসের গতি, গুরুকে করিয়া পতি গুরুনাম পাল তুলিয়া দাও।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫২)
৫.   “যেজন শিষ্য হয়, গুরুর মনের খবর লয়, এক হাতে যদি বাজত তালি, তবে কেন দুহাত লাগায়।” (পবিত্র লালন- ৮৩৯/১)
৬.   “সে যে আদমের ধড়ে, অনন্তকুঠরি গড়ে, মাঝখানে হাতনেকল জুড়ে, কীর্তিকর্মা বসলেন সেথা।” (পবিত্র লালন- ৪৬৬/৩)(মুখ; জানতে হয় আদমবনির, আদ্যকথা, না দেখে আযাযিল সে রূপ, কিরূপ আদম গঠলেন সেথা”)

হাতের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of hand)
১.   “আমি উড়ি হাওয়ার সাথ, ধরি তোমার হাত, তুমি না তরালে কে তরায় হে নাথ, ক্ষম অপরাধ- দাও শীতলপদ, লালন বলে মনে সয় না আর।” (পবিত্র লালন- ৪৪৮/৪)
২.   “আমি বৃন্দে নামটি ধরি, তুমি যাবে কিনা যাবে হরি, তোমার হাতে দিয়ে প্রেমডুরি, বেঁধে নিব হায়।” (পবিত্র লালন- ৪৯৫/৩)
৩.   “একঘরে ষোল চৌকিদার সবাই তো চোরা, সবাই মিলে যুক্তি করে মন পরায় হাতকড়া, বলন কয় ও লোভী মন, ডাণ্ডাবেড়ী পরিস না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৬৪)
৪.   “কতজন সুধার আশায়, ফণীর মুখে হাত দিতে যায়, বিষের আতস লেগে গায়, শেষে তার মরণদশা হয়রে।” (পবিত্র লালন- ৯৪৪/২)
৫.   “ঘরের আয়না আঁটা চৌপাশে, মাঝখানে পাখি বসে, আনন্দিত হয়ে, দেখ রে ভাই- ধরার জো নাই, সামান্য হাত বাড়িয়ে।” (পবিত্র লালন- ৫৩৫/৩)
৬.   “জনম গেল পরের বাড়ি, কত স্বামী গেল ছাড়ি (রে), কেমনে দিব জনমপাড়ি, কোন পতির হাত ধরেরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৭)
৭.   “ধু ধু শব্দে ধুমা ওঠে, কুদরতি কল ফেটে, একজন তার হাতনা ঝোঁকে, তার জায়গা ঐ বারপিটে।” (পবিত্র লালন- ৯৩৩/৩)
৮.   “রাধে কেন করো মান, কুঞ্জে আসে না যে শ্যাম, জলে আগুন দিতে পারি, বিন্দে আমার নাম, হাত ধরে মন সঁপেছিলি, সে কথা কী নাই মনে।” (পবিত্র লালন- ২১২/২)

সাধারণ হাত অর্থে হাতপরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology hand sense ordinary hand)
১.   “কেনরে মন এমন হলি, যাতে জন্ম তাতে মরলি, ঘুরতে হয় লক্ষ গলি, হাতে পায় বেড়ি সার করে।” (পবিত্র লালন- ৩৩৬/২)(মুখ; কেন মরলি রে মন, ঝাঁপ দিয়ে তোর বাবারপুকুরে, দেখি চিত্ত কামে মত্ত, পাগলপারা প্রায় তোরে”)
২.   “গুরুপদে নিষ্ঠা মন যার হবে, সঁপে দিলে সর্বস্ব তার, অমূল্য-ধন হাতে সে পাবে।” (পবিত্র লালন- ৩৮৯/১)
৩.   “দরদের ভাই বন্ধুজনা, মরলে সঙ্গে কেউ যাবে না, মন তোমারি, সেদিন খালি হাতে একা পথে, বিদায় দিবে তরী।” (পবিত্র লালন- ৫৩৬/৩)(মুখ; দেখ রে মন, ঝকমারি এ দুনিয়াদারি, পরিয়ে কোপনি ধড়া, মজায় উড়ালে ফকিরি”)
৪.   “ভোগ দিয়ে বিরিঞ্চি পেলে, আল্লাহ পাইত শিন্নিতে, মক্কায় গিয়ে খোদা পেলে, কেউ ফিরত না খালি হাতে, নগদ পাওয়া দূরের কথা, বাকিতে শুধু যায় জীবন।” (পবিত্র লালন- ১০৩/২)
৫.   “যা করো তা করোরে মন, পিছের কথা রেখ স্মরণ, বরাবরই, ও তোর পিছে পিছে ঘুরছে শমন, কখন হাতে দিবে দড়ি।” (পবিত্র লালন- ৫৩৬/২)(মুখ; দেখ রে মন, ঝকমারি এ দুনিয়াদারি, পরিয়ে কোপনি ধড়া, মজায় উড়ালে ফকিরি”)

——————————————————————————–

১.   “আঁচলাঝোলা তিলকমালা, মাটির ভাণ্ড দিবে হাতে, গৌর কলঙ্কিনী ধনী হোসনে লো কোনমতে।” (পবিত্র লালন- ৬৪/১)
২.   “আকাশে মই লাগিলে উড়ে পাতালে যায় বাতাসে, সাদা কালো দুটি চন্দ্র তার হাতে আসে অনায়াসে, পায় না চাঁদ অস্ত গেলে, পাহাড় সাগর খগোলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৮)
৩.   “আজগুবি বৈরাগ্য লীলা দেখতে পাই, হাত বুলানো চুল দাড়ি জট, কোন ভাবের ভাবুক রে ভাই।” (পবিত্র লালন- ৯৪/১)
৪.   “আনন্দ বাজারে এলে, ব্যাপারে লাভ করবে বলে, শূন্য সদকা, সঙ্গীর সঙ্গে- মজে কুরঙ্গে, হাতের তীর হারা হলি ক্ষ্যাপা।” (পবিত্র লালন- ২২১/৩)
৫.   “এক দশে চাঁদ সাদা রয়, শেষে কালো শশী উদয়, গুরু-চন্দ্র হলে সদয়, আপন চাঁদ হাতে আসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮১)
৬.   “এমনই বেহাল আপন ঘরে, থাকতে রতন হই দরিদ্রে, দেয় যে রতন হাতে ধরে, তারে কোথায় পাই।” (পবিত্র লালন- ৮২৯/৪)
৭.   “কানা যেমন তারা গণে, হাত ছোঁয়ায় বসে গগণে, চলে সে অনুমানে, মন বড় আনন্দময়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২২)
৮.   “কাম ক্রোধ লোভ মোহ মদ মাৎসর্য, এ কয়জন দেহের অবাধ্য, প্রেমাগুনে করো দগ্ধ, জব্ত্ব করো শক্তহাতে।” (পবিত্র লালন- ৫০৭/৩)
৯.   “ক্ষ্যাপামদন যাদের আখড়া, তারা খুঁজে পথের ফ্যাঁক্বড়া, লালন কয় কথা, এক হাতে বাজে না তালি।” (পবিত্র লালন- ৩১০/৪)
১০. “খুললেন মা হাতের কংকনি, বসন কেন খুললেন আপনি, হাসান হোসেন কানের বালি, নবি আলি পাঁচজন হলো।” (পবিত্র লালন- ৬০৪/৩)
১১.  “গুরু আমার দয়াল ভারী, করলেন আমায় ব্রহ্মচারী, গুরু দিনের অধম করল, হাতে দিয়ে শিঙে।” (পবিত্র লালন- ১৫১/২)
১২.  “ঘর বেড়ে ষোল জন সিপাই, একেকজনের বলের সীমা নাই, তারাও চোরের না পেলে টের, কার হাতে দিব দড়ি।” (পবিত্র লালন- ৮৫৫/৩)
১৩. “চোরের সঙ্গে না খাটে ধর্মছড়া, হাতের অস্ত্র কভু করো না হাতছাড়া, রাগের অস্ত্র ধরো- দুষ্ট দমন করো, স্বদেশে গমন করোরে ত্বরায়।” (পবিত্র লালন- ৭৩/৩)
১৪. “চৌদ্দতালা নৌকাখানি, বাঁধ মানে না চুঁয়ায় পানি, অটল রাখি কী দিয়ে- বলন কয় দয়া করে, আমায় নেও গো পারে, নিজ হাতে হাত ধরিয়ে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯৪)
১৫. “জলে যেমন চাঁদ দেখা যায়, ধরতে গেলে হাতে না পায়, লালন অমনি সাধন দ্বারায়, পড়ল গোলমালে।” (পবিত্র লালন- ৯৬৯৮/৪)
১৬.  “জলের মধ্যে চাঁদ দেখা যায়, ধরতে গেলে হাতে কে পায়, তেমনি, আলেক-মানুষ সদাই, থাকে আলেকে মিশে।” (পবিত্র লালন- ৭৮৭/২)
১৭. “তোর পদে সব সঁপেছি, কী আর বাকি রেখেছি, নিজহাতে দাসখত্ব লিখে দিয়েছি, লালন ভনে- বিখাশা বিহনে, তুই তারে পায় ধরালি প্যারী।” (পবিত্র লালন- ১৬৬/৪)
১৮. “দয়াল কতজন হলো পার তোমার নৌকায় চড়ে, সংসারে বন্দি হইয়া আমি একা রইলাম পড়ে, তুমি বিনা হাতে ধরে, গুরু কে নিবে পার করিয়া।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৩)
১৯.  “নদীয়ার পাড়েতে বসত করে আমার প্রাণনাথ, দেখব বলে দুয়ার খুলে তুলে রাখি হাত।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫০)
২০. “নিকটে থাকতে সে ধন, বিষয় চঞ্চলাতে খুঁজলি না এখন, লালন কয়- সে ধন কোথায়, আখিরে খালি হাতে সবাই যায়।” (পবিত্র লালন- ৯০৮/৪)
২১.  “নিরাকার সাধন করা, আঁন্ধার ঘরে সর্প ধরা, মরিচিকার পিছে পড়া, জলের চাঁদ হাতে ওঠে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬৮)
২২. “বলন কাঁইজি কয় হাত তুলি- দয়াল তোমার দয়ার কাঙ্গালী, যত দ্বার বন্ধ সকলি- তোমার দুয়ার বন্ধ না- হলো না গুরুসেবা- পরপারে নিবে কেবা, তুমিও তাড়াইয়া দিবা- অধমের উপায় দেখি না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৫)
২৩. “ভবে যত সাধুগণ, যেথা করে জ্ঞান অন্বেষণ, সেখানে করাও পদার্পণ, আপনি এসে হাত ধরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৩)
২৪. “যথা যার ব্যথা লিহাজ, সেখানে হাত ডলামলা, তেমনি, যেন মনের-মানুষ, মনে তোলা।” (পবিত্র লালন- ৮৭/৩)
২৫. “রূপ-কাষ্ঠের নৌকায় চড়ে মাসে মাসে হয় উদয়, কলির জীব তরাতে সাঁই ঘুরতেছে এ জগৎময়, প্রাতঃ সন্ধ্যা দুই ধারাতে- পার করে পার ঘাটেতে, হাত ধরে কাঙ্গলের হাতে– পেলে সঠিক সন্ধানী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৪)
২৬. “লালন সাঁইজি কয় সয়ে, কত ঘোড়া সোয়ারি যাচ্ছে বেয়ে, পারের আশে আছি বসে, শুধু কোড়া হাতে।” (পবিত্র লালন- ১৩১/৪)।২৭. “শূন্যশিখর যার নির্জনগোফা, সেথায় স্বরূপচাঁদের আভা, আভা ধরতে চাই- হাতে না পাই, কিরূপে সে রূপ যায় গো সরে।” (পবিত্র লালন- ১৪৭/২)

নৈকট্য অর্থে হাত পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology hand sense for contiguity)
১.   “কে কথা কয়রে দেখা দেয় না, নড়েচড়ে হাতের কাছে, খুঁজলে জনমভর মিলেনা।” (পবিত্র লালন- ৩২৮/১)।
২.   “দেখ রে এবার আপনার, ঘর ঠাওরিয়ে, আঁখির কোনায় পাখির বাসা, যায় আসে হাতের কাছ দিয়ে।” (পবিত্র লালন- ৫৩৫/১)
৩.   “নড়েচড়ে ঈশাণ কোণে, দেখতে পাই না দুই নয়নে, হাতের কাছে ঘর- ভবের হাটবাজার, কেউ দিলো না নির্ণয় করে।” (পবিত্র লালন- ১২৩/২)(মুখ; আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে, আমি জনমভরে একদিনও দেখলাম না তারে।”)
৪.   “মনের ভাব খুলে নাই নবি মর্ম খুলেছে, কেউ ঢাকাদিল্লি হাতড়ে ফিরে, কেউ দেখে হাতের কাছে।” (পবিত্র লালন- ৭৫৬/১)

——————————————————————————–

১.   “আজব রঙের মীন বটে সে, সাতসমুদ্র জুড়ে আছে, থাকে সবার হাতের কাছে, চিনতে পারে কোন ধনী।” (পবিত্র লালন- ৮২২/২)
২.   “গুরুধন সাধনের বেলা, আপনি এসে লাগায় ভেলা, হাতের কাছে দেখরে খেলা, রয়েছে কোন ঘরে বসে।” (পবিত্র লালন- ৭১/৩)
৩.   “মন যারে খুঁজ জনমভরে, হাতের কাছে সে ঘুরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪১)
৪.   “হাতের কাছে আলেকশহর, রূপে রূপে হচ্ছে লহর, সিরাজ সাঁইজি কয় লালন তোর, সদাই ঘোর মনে।” (পবিত্র লালন- ৩৯৩/৫)
৫.   “হাতের কাছে মামলা থুয়ে, কেন ঘুরে বেড়াও মন ভেয়ে, ঢাকানগর দিল্লি লাহোর, খুঁজলে মিলে এ দেহে।” (পবিত্র লালন- ৯৯১/১)
৬.   “হাতের কাছে যারে পাও, ঢাকাদিল্লি খোঁজতে যাও, কোন অনুসারে, তোর মতো হতভাগা নাই, এ সংসারেরে।” (পবিত্র লালন- ২৬৯/৩)
৭.   “হাতের কাছে হয় না খবর, কী দেখতে যাও দিল্লিনগর, সিরাজ সাঁইজি কয় লালনরে তোর, আজও ঘোর গেল না।” (পবিত্র লালন- ৩২৮/৪)

অধীন অর্থে হাতপরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology hand sense for subordinate)
১.   “আমার ঘরের চাবি পরের হাতে, কেমনে খুলে সে ধন দেখব চোখেতে।” (পবিত্র লালন- ১২৪/১)।
২.   “ইলাহি আ’লামিন আল্লাহ, বাদশাহ আলমপানা তুমি, ডুবিয়ে ভাসাতে পারো, ভাসিয়ে কিনার দাও কারো, রাখ মারো হাত তোমার, তাইতো; তোমায় ডাকি আমি।” (পবিত্র লালন- ১৯১/১)।
৩.   “কে তোমার আর যাবে সাথে, কোথায় রবে ভাইবন্ধুগণ, পড়বি যেদিন কালের হাতে।” (পবিত্র লালন- ৩৩০/১)।
৪.   “খুঁজে ধন পাই কী মতে, পরের হাতে ঘরের কলকাঠি, শতেক তালা মালকুঠি।” (পবিত্র লালন- ৩৭৯/১)
৫.   “ডুবাও ভাসাও হাত তোমার, তুমি বিনা কেউ নাই আমার, লালন কয় দোহাই তোমার, চরণে নিও তরী।” (পবিত্র লালন- ৩৫৫/৪)(মুখ; কোথায় রইলে হে, দয়াল কাণ্ডারী, এ ভবতরঙ্গে আমার, কিনারায় লাগাও তরী”)
৬.   “ত্রিবেণীর ত্রিসন্ধি, খুলতে পারে সে ফন্দি, প্রেমডুবুরী হলে, তবে সে মীন- আপনাপনি, আসবে হাতে চলে।” (পবিত্র লালন- ৪৮৩/৩)(মুখ; ডুবে দেখ রে মন, প্রেমনদীর জলে, (মীন রূপে সাঁই খেলে), প্রেমডুবুরী না হলে মীন, বাঁধবে না জালে”)
৭.   “প্রবর্ত্যে গুরু চিনো, পঞ্চতত্ত্বের খবর জানো, নামে রুচি হলে জীবের, কেন দয়া হয় না, প্রবর্ত্যরে কাজ না সেরে, চাও যদি মন গুরু হতে, ঠেকবি গিয়ে মেয়ের হাতে, লম্ফতে আর সারবে না।” (পবিত্র লালন- ৬৯/২)(মুখ; আগে গুরুরতী কর সাধনা, ভব বন্ধন কেটে যাবে, আসা যাওয়া রবে না”)
৮.   “ভক্তি-জমাদারের হাতে, দু’দিন চোর জিম্মি থাকে, তিনদিনের দিন দেয় সে চালান, আষ্টেপিষ্টে বেঁধে।” (পবিত্র লালন- ৮৭৮/২)
৯.   “যন্ত্রেতে যন্ত্রী যেমন, যেমন বাজায় বাজে তেমন, তেমনি, যন্ত্র আমার মন, বোল তোমার হাতে।” (পবিত্র লালন- ৩৯৫/৩)(মুখ; গুরু দোহাই তোমার, মনকে আমার লও গো সুপথে, তোমার দয়া বিনা তোমায়, সাধব কী মতে”)
১০. “লাগল ধুম প্রেমের থানাতে, মনচোরা পড়েছে ধরা রসিকের হাতে, ও সে ধরেছে চোরকে, হাওয়ায় ফাঁদ পেতে।” (পবিত্র লালন- ৮৭৮/১)
১১.  “শুদ্ধরাগে থাকতে যদি, হাতে পেতে অটলনিধি, বলি মন তাই নিরবধি, বাগ মানে না।” (পবিত্র লালন- ৭৩৪/২)(মুখ; মন আমার তুই, করলি একি ইতরপনা, দুগ্ধেতে যেমনরে তোর মিশল চোনা”)

——————————————————————————–

১.   “আবার নৈর-মানুষের কথা, শুনলে মনে লাগে ব্যথা, লালন বলে ভাঙ্গবি মাথা, পড়লে কাঠমোল্লার হাতে।” (পবিত্র লালন- ১৮৬/৩)
২.   “কলকাঠি যার পরের হাতে, তার ক্ষমতা কী জগতে, লেনাদেনা দিবা রাতে, পরে পরে ভাই।” (পবিত্র লালন- ৮২৯/৩)
৩.   “কলিকালে অমানুষের জোর, যত ভালোমানুষ বানায় তারা চোর, সমঝে ভবে না চললে, বোম্বেটের হাতে পড়বি ভাই।” (পবিত্র লালন- ১৯২/২)
৪.   “কালীদহে কমল তুলতে, দিলে কেন গোপালরে যেতে, মরে সে সাপের হাতে, বিষ লেগে গোপালের গায়।” (পবিত্র লালন- ৭৭৬/২)
৫.   “গহিন জলে বাস করে মীন, গুরু বলে ছাড়ছেরে ঝিম, যে চিনেছে সে জলের ঝিম, মীন ধরা দেয় তার হাতে।” (পবিত্র লালন- ৫০৭/২)
৬.   “জাত না দিলে পাই না হরি, কী ছার জাতির গৌরব করি, ছুঁসনে বলিয়ে, লালন বলে- জাত হাতে পেলে, পুড়াতাম আগুন দিয়ে।” (পবিত্র লালন- ২০১/৪)
৭.   “নদীকূলে বাঁধ বাসা, কখন খাবি ঠাসা, জলের  হাতে– পড়ে থাকবে সকলি তোর, কিছুই যাবে না রে সাথে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৬)
৮.   “নবির আগমন সাঁইয়ের হাতে প্রাণ, তাদের আগমন যুগলে, লালন কয়- যাবি কোথায়, আপনারে আপনি ভুলে।” (পবিত্র লালন- ৬১৪/৩)
৯.   “পথ গড়িয়া মধ্যপথে, তালা ঝুলায় রাখে তাতে, চাবি রাখে গুরুর হাতে, দেখ রে যতনে গোপনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৪)
১০. “পর ক্ষেতে যাই লোভে পড়ে, আপনি পড়ি আপন গড়ে, হাতের মামলা হারা হয়ে, কেঁদে ফিরি।” (পবিত্র লালন- ৭৬২/৩)
১১.  “প্রেম শিখালাম যারে হাতে ধরি, দেখ দেখ সজনী দিনরজনী, তার প্রেমে এখন জ্বলে মরি।” (পবিত্র লালন- ৬৫৪/১)
১২.  “বলেছিল মা যশোদে, বলাইকে দিলাম কানাইয়ের হাতে, লালন কয় মরলে তাতে, কী বলবে মাকে গিয়ে।” (পবিত্র লালন- ৯০৩/৪)
১৩. “মনকে আজ যদি ধরতে পারতাম হাতে, দেখতাম হায়রে মন, কী করে সদাই আলসে মাতে।” (পবিত্র লালন- ৭৩৭/১)
১৪. “মন পাগলা বুড়ো পির, লালন কয় বুদ্ধি রয় না স্থির, মান কী মুনাই- যদি হাতে পাই, তবে কী পুরো সিজাই অকালে।” (পবিত্র লালন- ২১৩/৪)
১৫. “মন বিহনে সবই মাটি, গুরুর হাতে চাবিকাঠি, বলন কাঁইজি কয় পাবি কী, ঘর ছেড়ে অরণ্যে ঘুরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫৪)
১৬.  “যদি ফুলের সন্ধিঘরে, বিন্দু পড়ে ঝরে, রসিক ভেয়ে কী হাতে পায় তারা, নীরে ক্ষীরে মিশায়- পড়ে দুর্দশায়, না মিশালে সফল তারা।” (পবিত্র লালন- ৭৮৮/২)
১৭. “মহারসে মত্ত রসবিহারী, সে নৌকায় সাঁই কাণ্ডারী, যার হাতে রসমুরলি- মুখে রসেশ্বরী, লালন বলে সে অখণ্ডশিখর।” (পবিত্র লালন- ২৩০/৩)
১৮. “যে জাগে সে ভাবের সাথে, অমূল্য-ধন পায় সে হাতে, ক্ষুধা-তৃষ্ণা যাবে তাতে, এমন ধন খুঁজলে না।” (পবিত্র লালন- ৭৪৮/২)
১৯.  “রূপের দরজায় শ্রীরূপ মহাশয়, তালা ছোড়ান তার হাতে সদাই, শ্রীরূপগত হবে- তালার ছোড়ান পাবে, লালন বলে সে অধর ধরবে তারা।” (পবিত্র লালন- ৯৭৭/৪)
২০. “শমনঘাটের খেয়া নায়ে, চড়তে লোকে মরে ভয়ে, সিরাজ সাঁইজি হাতে লয়ে, করে লালনের ঠিকানা।” (পবিত্র লালন- ৬৫৭/৪)
২১.  “হাত করে মন্ত্রী ছয়জন, নগরে চালায় শাসন, বলন কাঁইজি বলেরে শোন, মনের দায়ে জেল খাটবি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬১)
২২. “হাওয়ার গুণ বলবো কী আর, একসঙ্গে দম হলো যার, অঙ্গে হাওয়া দম খেলছে তার, শূন্যের ওপর ঘর- উদয় মাসমাস পর, ঘরের কলকাঠি হাতে বাইরে সে জনা।” (পবিত্র লালন- ৯৮৮/৩)

পরিমাপ অর্থে হাতপরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology hand sense for measurement)
১.   “ইন্দ্র দেবের সুপারিশে দরশন দান করবেন সাঁই, অষ্টজনার কাঁধের ওপর বিচার করতে বসবে কাঁই, সূর্য সাড়ে তিন হাত ওপর- তাপ দিবে মাথা বরাবর, বলন কয় হাজার বছর টিকে থাকবে ভাগ্যবান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৭)
২.   “একটা লালশালু পরে নাতি ঘটক হয়ে যায়, বড়-সন্তান কাজি হয়ে মাকে সামনে বসায়, পাঁচ হাজার তিনশত সাত- শাঁড়িটি পরায় বারোহাত, বাপের মাথায় মায়ের হাত- কখন কোন আসরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৬)
৩.   “ওপরে রবে ঝড়ের জ্বালা- চৌদিকে আগুনের লালা, জ্বলে পুড়ে হবে কালা- যারা রবে সাধনবিহীন- ভঙ্গ করে আপন সন্ধি- লাখে লাখে হবে বন্দী, সত্তরহাত শিকলে বান্ধি- করবে কত কারাধীন।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৮)
৪.   “বাবা মায়ে দিলো বিয়ারে, তিন-সতিনের ঘরে, সাড়ে তিন হাত দেহখানি, লুইটা খাইল পরেরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৭)
৫.   সাড়ে তিন হাত দেহ পরিমাণ, বিতরণ করো সে সমগম, গমনাগমন- বিবসন গম, শুভাশুভ গুণ বিচারে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯১)।
৬.   “সামনে এক সূক্ষ্মসেতু স্থাপন করা হবে, বাহাত্তরহাত অগ্নিশিকল পরাইয়া দিবে, কত মানুষ উত্থানদণ্ডে- কেটে পড়বে খণ্ডে খণ্ডে, পড়বে শুধু নরককুণ্ডে পারে যাবে বীর্যবান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৭)

যত্রতত্র অর্থে হাতপরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology hand sense for everywhere)
১.   “না হলে মন সরলে, কী ধন মিলে কোথায় খোঁজে, হাতে হাতে বেড়াও মিছে, তও পড়ে।” (পবিত্র লালন- ৫৯৯/১)
২.   “সাম্প্রদায়িক গ্রন্থে দয়াল ধুঁড়ে, হাতে হাতে শিষ্যত্ব পড়ে, বলন কয় বাতাসে উড়ে, অনুমানে জনমভরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩৭)
৩.   “সবে মজে সে পিরিতে, বিলাচ্ছে প্রেম হাতে হাতে, লালন বলে সে পিরিতে, মজেছে সব আপন ইচ্ছায়।” (পবিত্র লালন- ৯২৩/৫)

হাতের সংজ্ঞা (Definition of hand)
সাধারণত; বগল হতে আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দেহের অংশবিশেষকে হাত বলে।

হাতের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of hand)
১. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শিশ্নকে হাত বলে।
২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কোনকিছু নিয়ন্ত্রণ মাধ্যমকে হস্ত বলে।

হাতের প্রকারভেদ (Variations of hand)
হাত দুই প্রকার। যথা; ১. পাকাহাত ও ২. কাঁচাহাত।

. পাকাহাত (Expert hand)
সঠিক ও সুচারুরূপে কার্যাদি সম্পাদনকারীকে পাকাহাত বলে। যেমন; ১৯৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা পাকাহস্তেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন।

. কাঁচাহাত (Inexpert hand)
কোনো কাজে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়াকেই কাঁচাহাত বলে। যেমন; কাঁচা লেখা।

হাতের উপকার (Benefits of hand)
১.   হাত দ্বারা স্থূল দ্রব্যাদি ধারণ করা যায়।
২.   এর দ্বারা খাদ্য গ্রহণসহ দৈহিক ক্রিয়া কর্মগুলো সম্পাদন করা যায়।

আবার, বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; হাত দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান হাত ও ২. উপমিত হাত।

. উপমান হাত (Analogical hand)
সাধারণত; বগল হতে আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দেহের অংশবিশেষকে উপমান হাত বলে।

. উপমিত হাত (Compared hand)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে;; শিশ্নকে উপমিত হাত বলে।

হাতের পরিচয় (Identity of hand)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বলাই পরিবারের অধীন একটি বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ। সাধারণত; বগল হতে আঙুলের মাথা পর্যন্ত বাহুকে হাত বলা হয়। এটি; জীবের অধিক প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ। এটিকে পাণিদেবতা বলা হয়। জীবের খাদ্য আহরণ, খাদ্য গ্রহণ, আত্মরক্ষা ও প্রয়োজনীয় সঙ্কেতগুলো প্রদানসহ পাণিদেবতা জীবের অসংখ্য কার্য সম্পাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে থাকেন। পাণিদেব মানবের প্রধান দশ দেবতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে; শ্বাসশিশ্নকে হাত বলা হয়। তবে; এখানে; কেবল শিশ্নকেই হাত বলা হয়েছে। শিশ্ন দেখতে হাতের মতো বলেই শ্বরবিজ্ঞানে; একে হাত বলা হয়। এছাড়াও; শ্বরবিজ্ঞানে; হাত পরিভাষাটির অনেকগুলো অভিধা দেখতে পাওয়া যায়। যা আমরা ইতোপূর্বে তুলে ধরেছি। অথচ বড় আশ্চর্য হবার বিষয় হলো সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত হাত পরিভাষাটির দ্বারা কেবল হস্তকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। তাই; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষীগণ চিরদিনের জন্য আধ্যাত্মিক বা আত্মতত্ত্বের জ্ঞানে চিরান্ধ। যারা শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত পরিভাষাগুলোর সঠিক অভিধা জানে না তারাই বিগত দিনে বিশ্ববিখ্যাত পৌরাণিক সাহিত্যাদির অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টীকা প্রণয়ন করেছেন। আর তাদের ঐসব ভুল অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টীকা নিয়েই সাম্প্রদায়িকরা একের পর এক সৃষ্টি করে চলেছে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক উগ্রবাদ, আতঙ্কবাদ ও সন্ত্রাসবৃত্তি।

তথ্যসূত্র (References)

(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)

১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula)
"আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"

রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)

২ যোজক সূত্র (Adder formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"

৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

< উৎস
[] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
() ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
> থেকে
√ ধাতু
=> দ্রষ্টব্য
 পদান্তর
:-) লিঙ্গান্তর
 অতএব
× গুণ
+ যোগ
- বিয়োগ
÷ ভাগ

Here, at PrepBootstrap, we offer a great, 70% rate for each seller, regardless of any restrictions, such as volume, date of entry, etc.
There are a number of reasons why you should join us:
  • A great 70% flat rate for your items.
  • Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
  • We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.

পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী

উপস্থ (শিশ্ন-যোনি) কানাই,(যোনি) কামরস (যৌনরস) বলাই (শিশ্ন) বৈতরণী (যোনিপথ) ভগ (যোনিমুখ) কাম (সঙ্গম) অজ্ঞতা অন্যায় অশান্তি অবিশ্বাসী
অর্ধদ্বার আগধড় উপহার আশ্রম ভৃগু (জরায়ুমুখ) স্ফীতাঙ্গ (স্তন) চন্দ্রচেতনা (যৌনোত্তেজনা) আশীর্বাদ আয়ু ইঙ্গিত ডান
চক্ষু জরায়ু জীবনীশক্তি দেহযন্ত্র উপাসক কিশোরী অতীতকাহিনী জন্ম জ্ঞান তীর্থযাত্রা দেহাংশ
দেহ নর নরদেহ নারী দুগ্ধ কৈশোরকাল উপমা ন্যায় পবিত্রতা পাঁচশতশ্বাস পুরুষ
নাসিকা পঞ্চবায়ু পঞ্চরস পরকিনী নারীদেহ গর্ভকাল গবেষণা প্রকৃতপথ প্রয়াণ বন্ধু বর্তমানজন্ম
পালনকর্তা প্রসাদ প্রেমিক বসন পাছধড় প্রথমপ্রহর চিন্তা বাম বিনয় বিশ্বাসী ব্যর্থতা
বিদ্যুৎ বৃদ্ধা মানুষ মুষ্ক বার্ধক্য মুমুর্ষুতা পুরুষত্ব ভালোবাসা মন মোটাশিরা যৌবন
রজ রজপট্টি রজস্বলা শুক্র মূত্র যৌবনকাল মনোযোগ রজকাল শত্রু শান্তি শুক্রপাত
শুক্রপাতকারী শ্বাস সন্তান সৃষ্টিকর্তা শুক্রধর শেষপ্রহর মূলনীতি সন্তানপালন সপ্তকর্ম স্বভাব হাজারশ্বাস
ADVERTISEMENT
error: Content is protected !!