১৭/০. কামকলা
Erotic science (ইরোটিক সাইন্স)/‘علم شهواني’ (আলিম শাহওয়ানি)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কাম’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’ পরিভাষা। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘সঙ্গম’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কাম’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’ ‘কামমন্ত্র, বিনোদন ও পুণ্যস্নান’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘উপাসনা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘পর্যটন, ভ্রমণ ও যজ্ঞ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘আহব, উদ্বন্ধন ও পূজা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘তাপন, পাশাখেলা ও বাইচালি’।

অভিধা (Appellation)
কামকলা (বাপৌছ)বি শুক্রশাস্ত্র, শুক্রবিদ্যা, erotic science, ‘علم شهواني’ (আলিম শাহওয়ানি), lust-strategy, science of love, sexual science, sexology, ‘معاشرة’ (মুয়াশিরা), ‘علوم الجنسي’ (উলুমা আলজিন্সি) (প্র) কাম বা সঙ্গমের কৌশল বিশেষ। কামকলা মোট ১৬ প্রকার {বাং.কাম+ বাং.কলা}

কামকলার সংজ্ঞা (Definition of erotic science)
সাধারণত; কামকৌশলকে কামকলা বলে।

কামকলার প্রকারভেদ (Variations of erotic science)
কামকলা মোট ১৬ প্রকার। যথা; ১. অগমন ২. নবগমন ৩. অগম্যাগমন (অজাচার) ৪. বেশ্যাগমন (অবৈধ যৌন সংগম) ৫. ষড়গমন ৬. অভয়গমন ৭. অটলগমন ৮. ঊর্ধ্বগমন ৯. পরস্ত্রীগমন ১০. দুরাগমন ১১. সমগমন (সমরতি/ সমকামিতা) ১২. স্ত্রীস্ত্রীগমন (স্ত্রী-সমকামিতা) ১৩. বহুগমন ১৪. ধর্ষগমন ১৫. পশুগমন ও ১৬. স্বগমন। এ ১৬টি কামকলাকে একত্রে ষোল কলা বলা হয়। উল্লেখ্য; কামকলার অস্তিত্ব একেবারেই ছিল না। অনেক প্রচেষ্টার পর এগুলোকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নিচে ষোল কলার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো।

১. অগমন (Non coitus)
শ্বরবিজ্ঞানে অরজা রজস্বলা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে নিষিদ্ধ গমন এবং ঋতুমতীর রজকালীন সাড়ে তিনদিন সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ গমনকে অগমন বলে।

২. নবগমন (New coitus)
শ্বরবিজ্ঞানে অরজার প্রথম রজকালের সার্থক গমনকে নবগমন বলে।

৩. অগম্যাগমন (অজাচার) (Incest)
শ্বরবিজ্ঞানে অতি-নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করাকে অগম্যাগমন বলে।

৪. বেশ্যাগমন (অবৈধ যৌন সংগম) (Fornication)
শ্বরবিজ্ঞানে বিবাহিত কিম্বা অবিবাহিত পুরুষের অবিবাহিতা নারীর সঙ্গে স্বতঃপ্রবৃত্ত যৌন মিলনকে বেশ্যাগমন বলে।

৫. ষড়গমন (Hexa coitus)
শ্বরবিজ্ঞানে প্রথম ছয় প্রহরের সতর্কতামূলক গমনকে ষড়গমন বলে।

৬. অভয়গমন (Free coitus)
শ্বরবিজ্ঞানে রজস্বলাদের পবিত্রতার বাইশ হতে সাতাশ দিবসের মধ্যবর্তী গমনকে অভয়গমন বলে।

৭. অটলগমন (Commerce)
শ্বরবিজ্ঞানে প্রাকৃতিকভাবে শুক্র নিয়ন্ত্রণ করে কামতৃপ্তিময় গমনকে অটলগমন বলে।

৮. ঊর্ধ্বগমন (Ascendancy)
শ্বরবিজ্ঞানে সাঁই দর্শন লাভের আশায় ঊষা প্রহরের সার্থক গমনকে ও কাঁই দর্শন লাভের আশায় অর্যমা প্রহরের সার্থক গমনকে একত্রে ঊর্ধ্বগমন বলে।

৯. পরস্ত্রীগমন (Adultery)
শ্বরবিজ্ঞানে আপন সাধনসঙ্গিনী ব্যতীত অন্য নারীর সাথে সঙ্গম করাকে পরস্ত্রীগমন বলে।

১০. দুরাগমন (Difficulty coitus)
শ্বরবিজ্ঞানে কোনো নারীর গর্ভে সন্তান সৃষ্টি হওয়ার পঞ্চম মাস হতে সন্তান প্রসব হওয়া অবধি; এবং প্রসব পরবর্তী ঋতুস্রাব আগমন করার পর হতে সাড়ে তিন দিন পর্যন্ত তার সাথে সঙ্গম করাকে দুরাগমন বলে।

১১. সমগমন (সমরতি/ সমকামিতা) (Homosexuality/ Gay/ Gayer)
শ্বরবিজ্ঞানে পুরুষ-পুরুষের পায়ুপথে সঙ্গম করাকে পুঙ্গমন বলে।

১২. স্ত্রীস্ত্রীগমন (স্ত্রী-সমকামিতা) (Lesbianism/ Sapphism)
শ্বরবিজ্ঞানে নারী নারীর যৌনতা বিষয়ক যাবতীয় কার্যকে স্ত্রীস্ত্রীগমন বলে।

১৩. বহুগমন (Polygamy)
শ্বরবিজ্ঞানে এক নারীর সাথে বহু পুরুষ বা এক পুরুষের সাথে বহু নারীর গমনকে বহুগমন বলে।

১৪. ধর্ষগমন (Sadism)
শ্বরবিজ্ঞানে যৌনসঙ্গীকে যৌনপীড়ন করে যৌনসুখলাভের মানসিক বিকারকে ধর্ষগমন বলে।

১৫. পশুগমন (Bestiality/ Zoophilia, Zoophilism)
শ্বরবিজ্ঞানে পশুর সাথে যৌন সম্ভোগ করাকে পশুগমন বলে।

১৬. স্বগমন (Onanism/ Frig/ Masterbation)
শ্বরবিজ্ঞানে যে যৌনক্রিয়ায় একজন ব্যক্তি নিজের যৌনাঙ্গ বা অন্যান্য কামোদ্দীপক অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে হাত বা অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা বস্তু দ্বারা আলোড়ন করে কামোদ্দীপ্ত হওয়া বা চরমপুলকে পৌঁছানোকে স্বগমন বলে।

কামকলার পরিচয় (Identity of erotic science)
পুরুষ-নারীর মিলন বা সঙ্গমের কতকগুলো অবস্থা বা কৌশল রয়েছে। শ্বরবিজ্ঞানে; এসব কৌশলকে একত্রে কামকলা বলা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আদিম সমাজে কামকলার কোনো আলোচনা নেই। কারণ; বর্তমান সমাজে পৌরাণিক শিক্ষার চর্চা নেই। বর্তমানকালে বাংলা ভাষায় সামান্য পরিসরে হলেও পুরাণ চর্চা আরম্ভ হয়েছে। যারফলে; কেবল কামকলা নয়; শ্বরবিজ্ঞানের অনেক বিষয়বস্তুই ক্রমে ক্রমে প্রতিষ্ঠা হতে আরম্ভ করেছে। প্রতিটি মানুষের জন্য কামকলার জ্ঞান অর্জন করা ও তা মান্য করা অত্যন্ত আবশ্যক।

এছাড়াও; কাম সম্পর্কিত কয়েকটি ইংরেজি পরিভাষা হলো; adultery, algolagnia, algolagny, amphierotism, autoeroticism, bisexuality, oncubinage, coprophilia, criminal conversation, cuckoldry, exhibitionism, fetishism, fornication, heterosexuality, homoeroticism, homosexualism, homosexuality, incestuousness, lesbianism, masochism, narcissism, necrophilia, paraphilia, pedophilia, sadism, sadomasochism, sapphism, scotophilia, transvestitism, tribadism, tribady, voyeurism, zooerastia, zoophilia.

মর্ষকাম বি পায়ের তলায় পিষে মারার তাল, সবকিছু পিষে মারার চিন্তা, Masochism (প্র) এই মর্ষকাম হলো যেনতেনভাবে সারাবিশ্বকে পায়ের তলায় পিষে মারার তাল।  এই তৎসম শব্দ ‘মর্ষ’এর একটা সহজ অভিধা হলো চিন্তা; যার আগে বি উপসর্গজুড়ে ‘বিমর্ষ’ কথাটা এসেছে। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষ হতে জানা যায়; ‘মর্ষ’ এর আরও দুটো অভিধা আছে। তার একটা হলো ‘ক্ষমা’ ও আরেকটা হলো ‘নাশন’।

ধর্ষকাম বি ধর্ষণগমন, ধর্ষগমন, যৌনসঙ্গীকে পীড়ন, sadism (প্র) ১. যৌনসঙ্গীকে পীড়ন করে যৌনসুখলাভের মানসিক বিকার ২. অত্যধিক নির্মমতা এবং তাতে আনন্দলাভ qবিণ ধর্ষকামী, sadist.

Masochism [ম্যাসাকিজম] n. আত্মনিগ্রহ, যৌনবিকৃতিবিশেষ (প্র) প্রণয়ী বা প্রণয়িণী কর্তৃক নিপীড়িত হয়ে যৌন আনন্দলাভের চরম অনুভূতি {ই}

Narcissism [ন্যাসিসিজম] n. আত্মরতি, আত্মকাম, স্বমৈথুন, স্বকাম (প্র) নিজের মধ্যে একান্ত অভিনিবিষ্টতা {ই}

Heterosexuality [হেটারসেকশুয়ালিটি] n. ইতররতি, বিষমকাম, বিষমকামিতা, বিষমগমন, বিষমগামিতা (প্র) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ব্যাপক আসক্তি {ই}

Bestiality [হেটারসেকশুয়ালিটি] n. পশুগমন, পাশবিকতা, পশ্বাচার, পশুপ্রকৃতি, পশুধর্ম, Zoophilia, Zoophilism, atrocity, brutality, animality (প্র) পশুর সাথে যৌন সম্ভোগ {ই}

সমকামী পুরুষ (Gay)
ইংরেজি Gay (গে) শব্দটি প্রাথমিকভাবে সমকামী বা সমকামী বৈশিষ্ট্যায়িত ব্যক্তিকে বোঝায়। শব্দটি মূলত ভাবনাহীন, শুভ, বা ‘উজ্জ্বল এবং চটকদার’ হওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়।

সমকামীতার রেফারেন্স রূপে বলা যায় যে; শব্দটি ১৯শ শতাব্দীর প্রথমদিকে ব্যবহার আরম্ভ হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০শ শতাব্দীর দিকে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। আধুনিক ইংরেজিতে, কোনো ব্যক্তিকে উল্লেখ করতে বিশেষণ এবং বিশেষ্য রূপে এর ব্যবহার হয়। বিশেষ করে সমকামী পুরুষদের এবং সমকামীতার সঙ্গে যুক্ত চর্চা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। ২০শ শতাব্দীর শেষ নাগাদ, ইংরেজি গে শব্দটি প্রধান এলজিবিটি গোষ্ঠী কর্তৃক প্রস্তাবিত হয়। এবং এর দ্বারা সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট ব্যক্তিকে বুঝায়।