৩৯. নারীদেহ
Cake (কেক)/ ‘كعكة’ (কা‘কা)

ভূমিকা (Introduction)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ও ‘নারীদেহ’ পরিবার প্রধান বিশেষ। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘নিধুবন’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘নাগরদোলা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘নবদ্বীপ’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘নদীয়া’। শ্বরবিজ্ঞানের সর্বাধিক আলোচিত ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ এটি। এটি; একই শ্বরবিজ্ঞানে একেক সময় একেক পরিভাষায় বর্ণিত হয়। এটি; একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক প্রধান মূলক সত্তা’।

অভিধা (Appellation)
নারীদেহ (বাপৌরূ)বি ভগচিহ্নধারিণী দেহ, cake, ‘كعكة’ (কা‘কা), femalebody, ‘جسم النساء’ (জেসম আন্নিসায়ি) (শ্ববি) নাগরদোলা, পাতাল, ভূমি (ইপ) ইমরাত (আ.ﺍﻤﺮﺃﺓ), মারয়াত (আ.ﻤﺮﺀﺓ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘নারীদেহ’ পরিবার প্রধান বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; ভগ চিহ্নধারী দেহকে বাংলায় ‘নারীদেহ’ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, সন্তান ধারণে সক্ষম ভগ চিহ্নধারী দেহকে ‘নারীদেহ’ বলা হয় (বাপৌছ) নদীয়া (বাপৌচা) নবদ্বীপ (বাপৌউ) নাগরদোলা (বাপৌরূ) নিধুবন (বাপৌমূ) নারীদেহ {বাং. নারী + বাং. দেহ}

Cake [কেক] (GMP)n পিঠা, অপূপ, ‘كعكة’ (কা‘কা) (আল) ১. ডালভাত, অত্যান্ত সহজ ও সুখপ্রদ বস্তু ২. নারী, নারীদেহ, নারীজাতি {ই}

‘كعكة’ [কা‘কা] (আপৌমূ)বি পিষ্টক, পিষ্টক, পিঠা, পিঠে, শক্ত পিণ্ড, শক্ত টুকরা, শক্ত আকারের খণ্ড বা টুকরা, Cake ক্রি শক্ত দলায় পরিণত করা বা হওয়া {আ}

নারীদেহের সংজ্ঞা (Definition of cake)
ভগ চি‎হ্নধারী দেহকে নারীদেহ বলে।

পারিবারিক অবস্থান (Domestic position)

প্রাথমিক পরিপত্র (Primary circular)
নারীদেহের আভিধানিক, রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষা।

বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা; নারীদেহ।
বাংলা আভিধানিক প্রতিশব্দ; নারীদেশ ও নারীসমাজ।
বাঙালী পৌরাণিক রূপক; নিধুবন।
বাঙালী পৌরাণিক উপমান;  নাগদ্বীপ, নাগরদোলা, ভূঁই ও শস্যক্ষেত্র।
বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক; নবদ্বীপ।
বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম;  অশোক-কানন, অশোকবন, কান্যকুব্জ, নদীয়া, ব্রজ^৪, ব্রহ্মর্ষিদেশ, মকরাকর, মকরালয়, মাধবকুঞ্জ, মাধবিকা, মাধবীতলা, মাধবীবন, মাধবীলতা, মায়াকানন, মায়ারথ, মায়ারাজ্য, রত্নদ্বীপ, রামায়ণ, শিবপুরী, শিববাহন, শিবলোক, শিবালয়।

বাংলা, ইংরেজি ও আরবি (Bengali, English and Arabic)

নারীদেহের প্রকারভেদ (Variations of femininity)
নারীদেহ তিন প্রকার। যথা; ১. অরজা ২. রজস্বলা ও ৩. গতার্তবা।

১. অরজা (Missy)
রজস্রাব আগমনের পূর্ববর্তী নারীদেহকে অরজা বলে।

২. রজস্বলা (Menstruating)
রজবতী বা কুসুমিতা নারীদেহকে রজস্বলা বলে।

৩. গতার্তবা (Deadmenses/ Crone)
রজস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদেহকে গতার্তবা বলে।

নারীদেহের উপকার (Benefits of cake)
১.   নারীদেহে সাঁই ও কাঁই-সত্তার অবতরণ ঘটে।
২.   স্বর্গীয় পঞ্চরসের তিনটি রসের অবতরণ এ নারীদেহে ঘটে।
৩.   শ্বরবিজ্ঞানীদের বর্ণনা মতে; সারাবিশ্বের অধিকাংশ পৌরাণিক সত্তাই নারীদেহ হতে গৃহীত। যেমন; আরবি বারো মাসের নাম; ০ সংখ্যা, রস, দেবতা ও দেবী ইত্যাদি।

নারীদেহের অপকার (Disservice of cake)
নারীদেহ নরদেহ হতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল।

নারীদেহের পরিচয় (Identity of cake)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ বিশেষ। ভগ চি‎হ্নধারী দেহকে নারীদেহ বলা হয়। স্ত্রীলিঙ্গ বহনকারী দেহই নারীদেহ। গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের ক্ষেত্রে নারীদের কোনো বিকল্প নেই। স্থূলদৃষ্টিতে যদিও নরদেহ ও নারীদেহের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। অন্যদিকে; পুরাণ কিংবা শ্বরবিজ্ঞানে দেহদ্বয়ের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। অর্ধাঙ্গ ও অর্ধাঙ্গী রূপে উভয়দেহকেই প্রায় সমমানে দেখা হয়। আলোচ্য ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র বাঙালী পৌরাণিক রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষার আলোচনা যথাস্থানে করা হয়েছে।

(তথ্যসূত্র; আত্মতত্ত্ব ভেদ (৫ম খণ্ড); লেখক; বলন কাঁইজি)।