৬১. বার্ধক্য 
Senescence (সেনিসসিন্স)/ ‘عجائزية’ (আজায়িঝিয়া)

ভূমিকা (Introduction)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ এবং ‘বার্ধক্য’ পরিবার প্রধান বিশেষ। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘অচল’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘শুকনাগাছ’। এটি একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক প্রধান মূলক সত্তা’।

অভিধা (Appellation)
বার্ধক্য (বাপৌমূ)বি জরা, বৃদ্ধাবস্থা, পৌঢ়ত্বের পরবর্তীবয়স, senescence, ‘عجائزية’ (আজায়িঝিয়া) (শ্ববি) জীর্ণতা (ইপ) শাইব (ﺷﻴﺐ), শাইখুখা (ﺷﻴﺧﻮﺧﺔ) (ইংপ) old age  (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘বার্ধক্য’ পরিবার প্রধান ও একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক প্রকৃত মূলক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) সাধারণত; পৌঢ়ত্বের পরবর্তী বয়সকে বাংলায় ‘বার্ধক্য’ বলা হয় (বাপৌছ) শুকনা গাছ (বাপৌরূ) অচল (বাপৌমূ) বার্ধক্য।

বার্ধক্যের সংজ্ঞা (Definition of senescence)
পৌঢ়ত্বের পরবর্তী বয়সকালকে বার্ধক্য বলে।

পারিবারিক অবস্থান (Domestic position)

বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা; বার্ধক্য।
বাঙালী পৌরাণিক রূপক; অচল।
বাঙালী পৌরাণিক উপমান;  ০০।
বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক; ০০।
বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম;  শুকনাগাছ।

বার্ধক্যের প্রকারভেদ (Variations of senescence)
বার্ধক্য দুই প্রকার। যথা; ১. কাল বার্ধক্য ও ২. অকাল বার্ধক্য।

১. কাল বার্ধক্য (Periodic senescence)
মানুষের স্বাভাবিক বয়সের কারণে যে বার্ধক্য আসে তাকে কাল বার্ধক্য বলে।

২. অকাল বার্ধক্য (Premature senescence)
মানুষের স্বাভাবিক বয়সের পূর্বে আক্রমণকৃত বার্ধক্যকে অকাল বার্ধক্য বলে।

বার্ধক্যের পরিচয় (Identity of senescence)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘বার্ধক্য’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ বিশেষ। মানুষের যৌবনকালের পরবর্তীবয়সকে বার্ধক্য বলা হয়। মানুষ প্রকৃতি নির্মিত একটি স্বয়ংক্রীয় প্রযুক্তি। তাই; বলা যায় মানুষের দেহও প্রাকৃতিক একটি যন্ত্র। যেমন; মানুষের নির্মিত প্রযুক্তির বা যন্ত্রাংশের খণ্ডাংশ অচল বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে যন্ত্রটি অচল হয়ে যায়। তেমনই; মানুষের শরীরের ভিতর ও বাইরের কোনো যন্ত্রাংশ বা খণ্ডাংম ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষের দেহ নামক যন্ত্রটিও অচল হয়ে যায়। এসব কারণে সন্তানদের খেলাধুলা বিষয়ে প্রত্যেক পিতা-মাতার অধিক সতর্ক থাকা একান্ত প্রয়োজন। খেলতে গিয়ে সন্তানের হাত, পা ও চোখ ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন খেলাধুলা হতে সন্তানদের সবসময় বিরত রাখা উচিত। ছোটবেলায় খেলতে গিয়ে যদি হাত, পা ও চোখ কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে সঙ্গেই সঙ্গেই ভালোভাবে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। যাতে যৌবনকালে ও বার্ধক্যে গিয়ে তা সন্তানের কষ্টের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

অতঃপর; যৌবনে পদার্পণ করার সঙ্গে সঙ্গেই সর্বপ্রকার ঝুঁকিপূর্ণ খেলাধুলা পরিত্যাগ করা সব যুবক যুবতীর একান্ত প্রয়োজন (তবে পরিপূর্ণ নিরাপত্তার সাথে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ক্লাবভিত্তিক খেলাধুলা করায় কোনো দোষ নেই)। সাথে সাথে সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য সেবন ও ব্যবহার হতে অধিক অধিক ব্যবধানে অবস্থান করা আবশ্যক। কারণ; খেলাধুলা দেহের বাইরের যন্ত্রাংশ বিকল করে কিন্তু মাদকদ্রব্য দেহের ভিতরের যন্ত্রাংশ ধ্বংস করে। দেহের ভিতর ও বাইরের সব যন্ত্রাংশ অক্ষত ও অটুট রাখতে পারলে সহজে অকালবার্ধক্য আক্রমণ করতে পারে না। শ্বরবিজ্ঞানে; এ পরিভাষাটির ব্যবহার একেবারেই নগণ্য। কেবল অকালেই যাতে বার্ধক্য আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য; এ সত্তাটি দ্বারা রূপক উপমা নির্মাণ করে দীর্ঘায়ুলাভ করা ও শরীর চির সুস্থ রাখার আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। আলোচ্য ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র বাঙালী পৌরাণিক রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষার আলোচনা যথাস্থানে করা হয়েছে।

(তথ্যসূত্র; আত্মতত্ত্ব ভেদ (৬ষ্ঠ খণ্ড); লেখক; বলন কাঁইজি)।